বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ১৯৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে তিন কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। টোল আদায়ের ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেকর্ড ছিল বলে জানা যায়।
আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী খবরটি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, এটি টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
জানা যায়, শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনি ট্রাকসহ এসব যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোল প্লাজায় যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৫ হাজার ৭৪১টি এক টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকা এবং সেতু পশ্চিম টোল প্লাজায় ১৬ হাজার ৪১৮টি এবং টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ আট হাজার ৯৫০ টাকা।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট না থাকলেও গাড়ির চাপ রয়েছে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে টোল প্লাজার উভয় পাশে ১৮টি পয়েন্টে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের টোল আদায় করার জন্য করা হয়েছে আলাদ দুটি লেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বেশি থাকলেও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। শুক্রবার রাতে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করে। ফলে মহাসড়কে পরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে দেশের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে ২০-২১ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট ও ভোগান্তি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেতু কর্তৃপক্ষের বিশেষ কয়েকটি উদ্যোগের কারণে এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি। অন্যবারের চেয়ে এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।