নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ হাইকোর্টের আদেশ নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) জায়গা দখল নিয়ে রমরমা বাণিজ্য চলছে। গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে একটি মহল প্রতিমাসে ভাড়া আদায়ের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তৃতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযানে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলা অংশের রুপিহার, কুন্দারহাট, নন্দীগ্রাম, উমরপুর, রনবাঘা বাসস্ট্যান্ডে সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদের কিছুদিন যেতে না যেতেই হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে পুনরায় এসব অবৈধ স্থাপনায় দোকানপাট নির্মান করা হয়েছে। গোপন তথ্য সুত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার দুইপাশে ফল, মুদিখানা সহ সবমিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টি দোকান অবৈধ স্থাপনার উপর রয়েছে।
আর ওইসব দোকানগুলো থেকে একটি মহল ভাড়ার নামে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি ও দোকান মালিকরা জানিয়েছেন এসব অবৈধ স্থাপনা যেখানে সেখানে গড়ে তোলার কারণে ট্রাক, বাস, সিএনজি, অটো রিস্কা পার্কিংয়ের জায়গা না থাকার কারনে বিগত দিনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে দূর্ঘটনায় হারিয়েছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। আবারো এসব অবৈধ স্থাপনা হওয়ার কারণে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এছাড়াও কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে পানি নিস্কাসনের ড্রেনের স্লাবের উপর রাখা হয়েছে দোকানের আসবাবপত্র এতে করে পায়ে হেঁটে চলাচলকারী পথচারীরা পরেছে চরম বিপাকে। সব মিলিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনার কারনে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
এলাকার সচেতন মহল দাবি তুলেছে অল্প দিনের মধ্যই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান এই প্রতিনিধিকে বলেন অভিযোগটি আমি শুনেছি অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।