গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি ফেরিঘাটের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ হাজার ২০০টির মতো গাড়ি পারাপার করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সারাদেশে ৪৪টি ফেরিঘাট রয়েছে। তবে এ সব ফেরির মাধ্যমে কী সংখ্যক গাড়ি পারাপার করা হয়- সেই হিসাব নেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কাছে।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ফেরির সংখ্যা ৫৩টি, বেশির ভাগ ফেরির আকৃতি বড়। বড় ফেরিগুলো সর্বোচ্চ ৩৫টি গাড়ি বহন করতে পারে। মূলত বড় দৈর্ঘ্যের নদীগুলোতে ফেরি পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিসি।
অপরদিকে ছোট দৈর্ঘ্যের নদীতে ফেরি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তাদের ফেরির সংখ্যা ১০৯টি। একটি ফেরি সর্বোচ্চ ১২টি গাড়ি বহন করতে পারে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সারাদেশে বিআইডব্লিউটিসির ৬টি ফেরিঘাট রয়েছে। মোট ফেরি রয়েছে ৫৩টি। এরমধ্যে রোরো (বড় আকারের ফেরি), টানা, কে-টাইপ (ছোট ফেরি), ইউটিলিটি (কে-টাইপ ফেরির চেয়ে বড়)। এই ছয়টি ফেরি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ২০০ গাড়ি পারাপার করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ। এর যাত্রী হিসাব করলে কমপক্ষে এক লাখ হবে।’
এই ফেরিগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টাকা আয় হয় বলেও জানান চেয়ারম্যান।
তিনি আরও জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, পাটুরিয়া-দৌতলদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট, চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর-ভোলা, লাহারহাট-ভেদুরিয়ায় বিআইডব্লিউটিসির ফেরিঘাট রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফেরি প্ল্যানিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘সড়ক ও জনপথের অধীনে ৪৪টি ফেরিঘাট রয়েছে। এসব ঘাটে মোট ফেরির সংখ্যা ১০৯ জন। তবে ফেরিগুলোকে কী সংখ্যক গাড়ি পারাপার হয় তা যে সড়ক বিভাগ ফেরিঘাট পরিচালনা করে তারা বলতে পারবে। কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘সড়ক ও জনপথের ফেরিঘাটের সংখ্যা বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা অঞ্চলে বেশি। কারণ ওই অঞ্চলগুলো নদী অধ্যুষিত। মূলত ছোট দৈর্ঘ্যের নদীগুলোতে সড়ক ও জনপথ ফেরি পরিচালনা করে থাকে। আর জাতীয় মহাসড়ক এবং বড় দৈর্ঘ্যের নদীগুলোতে ফেরি কার্যক্রম পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিসি। বিআইডব্লিউটিসি ফেরিগুলো আকৃতি বড়, সেগুলো সর্বোচ্চ ৩৫টির মতো গাড়ি উঠতে পারে। আমাদের ফেরিগুলোকে সর্বোচ্ গাড়ি উঠতে পারে ১২টি গাড়ি।’