পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদারের দাবি জানিয়েছে নৌ সড়ক ও রেলপথ রা জাতীয় কমিটি। আজ শনিবার সংগঠনেরর সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে ১২ দফা সুপারিশ উত্থাপন করে তা বস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
সুপারিশগুলো হলো, বিদ্যমান অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে নদীবন্দর ও নৌপথসমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ-তে অস্থায়ী ভিত্তিতে অন্ততঃ চারজন করে নির্বাহী হাকিম পদায়ন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে বিশৃঙ্খল এড়াতে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন, সকল নৌপথে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয়, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ।
এ ছাড়াও যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ যেকোনো ধরনের অনিবিন্ধত ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা।গুরুত্বপূর্ণ নৌপথসমূহে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের তৎপরতা জোরদার, টেলিভিশন ও বেতারে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার, টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায় ও লাউড স্পিকারে আবহাওয়া বার্তা প্রচার, লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ, যাত্রীভর্তি নৌযান ছাড়ার আগে ভিডিওচিত্র ধারণ করে টার্মিনাল বা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষন এবং সকল টার্মিনালে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দূরপাল্লার সড়কে তীব্র যানজটসহ লাগামহীন দুর্ঘটনার কারণে উপকূলীয় জনপদের মানুষ নৌপথকেই প্রাধান্য দেবে। এতে লঞ্চ-স্টিমার বিভিন্ন ধরনের নৌযানে যাত্রীর চাপ বাড়বে। অন্যদিকে ভরা দুর্যোগ মৌসুমের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতামূলক পদপে হিসেবে ১২ দফা সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে।