English

17 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

- Advertisements -

‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারি ও বেসকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে’- ৯ ই নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০ টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর আয়োজনে এর সম্মেলন কক্ষ্যে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে করণীয় শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ- এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে আমরা যারা সড়ক ব্যবহার করছি তাদের অসচেতনতা ও অসাবধনতা; দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো; যত্রতত্র ওভারটেক করা, রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রীজ বা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করা; রাস্তা পারাপারের সময় ফোন ব্যবহার/ ফোনে কথা বলা ইত্যাদি। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।
তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ শুধু সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয় । এর জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং বাংলাদেশে বছরে প্রায় আনুমানিক ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতিবছর দেশের ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ৫ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ৮ম বৃহত্তম এবং মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়।
নিরাপদ ও পথচারী বান্ধব সড়ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয় ডিকেড অ্যাকশান ফর রোড সেফটির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” প্রনয়ণ করে। আইনটি এবছর আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সুপারিশ আইনের বিশেষ কিছু দিক যেগুলো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সেগুলো সংশোধন করা; যেমন-গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা, মটরসাইকেলে আরোহীর ক্ষেত্রে মানসম্মত ও যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া, গাড়ি বা যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীদের সিট বেল্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা, পরিবহনে বিশেষ করে ছোট গাড়িতে শিশুদের জন্য নিরাপদ আসন ব্যবস্থা রাখা ; সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যে সকল সংস্থা কাজ করছে তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, আইন ও নিয়মের যথাযথ প্রয়োগ, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা অবলম্বন করা, যেমন: হেলমেট, সিটবেল্ট, গতিসীমা ও শিশু সিট সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় সভায় সড়ক দুর্ঘটনা সর্ম্পকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট , করণীয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উক্ত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নিরাপদ সড়ক চাই এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য শাখা / অধিদপ্তর/ সংস্থার প্রতিনিধি , সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা/ এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন