‘ট্রাফিক ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশনকে দিলে গাড়ির নম্বর প্লেটের নম্বরটি জোড় না বিজোড়- সেই ভিত্তিতে রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি নামাবেন গাড়ির মালিকেরা। নম্বর প্লেটে যাদের জোড় সংখ্যা রযেছে তারা জোড় তারিখের দিনে গাড়ি চালাতে পারবেন। পরের দিন চলবে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি’।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৭ এর রবীন্দ্র সরণির পশ্চিমের শেষ প্রান্ত বটমূলে ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সময় মেয়র আরো বলেন, রাজধানীর কোন রাস্তায় কি পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোন কোন রাস্তায় বেশি যানজট এসব বিষয়ে গবেষণা করে কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য সুস্থ্য, সুন্দর বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মুক্ত চলাচল, আড্ডা, গল্প, গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এই মুক্তমঞ্চটির প্রয়োজন অনুধাবন করেই ডিএনসিসি এটি নির্মাণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতির বিকাশের জন্য এই এলাকায় শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানের শাখা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে ভাবেন, দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চটি নির্মাণের জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চটি উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি চাই মুক্তমঞ্চটি ভবিষ্যতে আরো প্রসারিত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।