English

23 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ শেষ: ১০ দিন পর যান চলাচলের জন্য খুলছে টঙ্গী ব্রিজ

- Advertisements -

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভেঙে যাওয়া গাজীপুরের টঙ্গী ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ শেষে হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ব্রিজটি।
সন্ধ্যায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সেতু বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলে, আজ সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেবো। সেতুর যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা সংস্কার করা হয়েছে। আজ মধ্যরাতে ব্রিজটি খুলে দেওয়ার কথা ছিল। পরে তারও কিছু সময় আগে অর্থাৎ রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে খুলে দেবো। তখন গাজীপুরের গাড়িগুলো সোজা চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ওখানকার (সংস্কার অংশে) একটি কিউরিং টেস্ট করিয়েছিলাম, তাও হাতে পেয়েছি। এরপরই ব্রিজটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্মাণাধীন নতুন সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মেরামত করা সেতু দিয়েই যানবাহন চলাচল করবে।
শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর ঢালাই দেওয়া অংশে পানিযুক্ত চটের ব্যাগ বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেতুর নিচে লোহার পাটাতন থেকে অস্থায়ী লোহার মইগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের পিচ ঢালাইয়ের জন্য বালু ও পিচভর্তি ড্রাম প্রস্তুত করা হচ্ছে। ব্রিজের এক পাশ দিয়ে পথচারীরা হেঁটে চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ দিন ধরে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। থেমে থেমে যানবাহন চলাচল ও যানজটের কারণে অনেকে সময়মতো অফিস-আদালত ও নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। ব্রিজটি সংস্কার হলেই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী সব শ্রেণির মানুষ নিরাপদ ও স্বল্প সময়ে চলাচল করতে পারবে।
ব্রিজের স্ল্যাব ভেঙে পড়ার পরে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শন করে তা সংস্কারের জন্য ১২ দিন সময় নেন। সে মোতাবেক ২১ নভেম্বর সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিআরটি কর্তৃপক্ষ জনদুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্ব বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর টঙ্গী ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি চিহ্নিত হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর রাতে ব্রিজ দিয়ে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ঢাকামুখী যানবাহনগুলো কামারপাড়া সড়কের মোড় ঘুরে রাজধানীতে প্রবেশের বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এতে রাজধানীর উত্তর অংশ ও টঙ্গীতে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। ১২ নভেম্বর থেকে ব্রিজের সংস্কারকাজ শুরু হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন