নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছোট নদীর ওপর ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের ওপর কাঠ দিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। গত দুই মাস আগে বালুবাহী ট্রাক ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসীর। দ্রুত নতুন করে ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রজাকপুর ও শেখপুরা মহল্লার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট নদী। নদীর উত্তর পাশে শেখপুরা ও দক্ষিণ পাশে রজাকপুর মহল্লা। প্রায় ৫০ বছর আগে ছোট নদীর ওপর একটি ব্রিজ তৈরি করে দুই মহল্লাকে যুক্ত করেছে।
শহরের তুলশিগঙ্গা থেকে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে বাইপাস সড়কে চলাচল করা হয়। যেখানে প্রতিদিনই ওই রাস্তা দিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তবে বয়সের ভারে ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ে। গত দুই মাস আগে বালুবাহী ট্রাক ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। এতে এক সপ্তাহ চলাচল বন্ধ ছিল।
নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দা ও স্থানীয় কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান সাগরের সহযোগিতায় অর্থ জোগানে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করা হয়। এতে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। অস্থায়ী ব্রিজের ওপর দিয়ে ভ্যান ও অটোরিকশাসহ অন্য যান চলাচল করতে পারলেও ভারী যান চলাচল করতে পারে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহল্লাবাসীদের।
শেখপুরা মহল্লার বাসিন্দা পাইলট হোসেন, শিবলি হোসেন ও রজাকপুর মহল্লার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন ও ফারুক হোসেন বলেন, ব্রিজটি অনেক পুরনো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গত দুইমাস আগে বালুবাহী ট্রাক যাওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এতে এক সপ্তাহ নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যদিও যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে প্রায় আধাকিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে যেতে হতো। পরে এলাকাবাসীদের অর্থে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করা হয়। এখন ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ব্রিজ তৈরির দাবী জানান তারা।
নওগাঁ পৌরসভা মেয়র নাজমুল হক সনি বলেন, ‘ওই ব্রিজটি নিয়ে আমাদের চিন্তা ভাবনা আছে। করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় কাজের গতি ধীর হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’