গ্রামীণ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও শিল্প এলাকায় সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য ডিজাইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ রাস্তা ১০ ফুট, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১২ ফুট, উপজেলা পর্যায়ে ১৮-২০ ফুট এবং শিল্প এলাকার জন্য ১৮-৩৬ ফুট করার প্রস্তাব করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চার ধরনের সড়কের ডিজাইন পরিবর্তনের বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এই প্রস্তাব দেন। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এক সময় রাস্তা-সেতু লো কস্টে নির্মাণ করা হতো। ফলে এসব রাস্তা-সেতু টেকসই হতো না। স্থানীয় পর্যায়সহ সব সড়ক টেকসইভাবে নির্মাণে সঠিক প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দিয়ে গ্রামীণ সড়কের ডিজাইন পরিবর্তনের জন্য সমীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে গ্রামীণ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও শিল্প এলাকায় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট মাপ নেই। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রস্থের সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পরবর্তী সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়।
প্রস্তাবিত সড়কের ডিজাইন পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দিলে পরবর্তী সময়ে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব রাস্তা-সেতু নির্মাণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে দেশের প্রতিটি গ্রাম পর্যন্ত উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের বিকল্প নেই।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ করলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাস্তি দেয়া হবে, তেমনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্বিগুণ জরিমানার আওতায় আনা হবে। অনেক কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো কাজ করছেন। কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।’
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এটি ভালো উদ্যোগ। নিরাপদ সড়ক করতে উপর মহলের লোক কেই এগিয়ে আসতে হবে।