দেশে করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও শপিংমল ও মার্কেট খোলা থাকবে। তবে বন্ধ থাকছে গণপরিবহন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করে আদেশ জারি করেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পক্ষে এক আদেশে বলা হয়েছে, এ সময় সব ধরনের সড়ক পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানে নিয়োজিত যানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- কৃষি উপকরণ (সার, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) বহনকারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে। খাদ্য দ্রব্য, খাদ্যশস্য, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও কভিড টিকাদানে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল কোনো বাধা থাকবে না।
আদেশে আরো বলে হয়েছে, এই সময়ের বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিযোগাযোগ, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবার কাজে নিয়োজিত এবং গণমাধ্যমে কর্মরতদের যানবাহনও চলাচল করতে পারবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বহাল থাকবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। এখনকার মতোই বিধিনিষেধ চলাকালে গণপরিবহন, অফিস বন্ধ থাকবে। তবে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।