কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় ভেঙে পড়ে থাকে দীর্ঘদিন সেটি। এ রকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে আসছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে তা সংস্কার করা হচ্ছিল না। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সেতুটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেও তা সময়মত হয়নি।
জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী বাগভান্ডার সড়কের পূর্ব বাগভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন (বাগভান্ডার- ভূরুঙ্গামারী সড়কে) সেতুটির মাঝে ভেঙ্গে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলতে থাকে বিভিন্ন যানবাহনসহ এলাকার মানুষজন।
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ‘ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ’ কথাটি লিখে লাল ফিতা টানিয়ে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যসহ বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ডিসেম্বরের শুরুতে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। এ সেতুটি অবশেষে গত রবিবার ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পুর্ণ অচল হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়ে যান এলাকাবাসীরা। সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হবার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এ সেতুর ওপর দিয়ে উপজেলার মইদাম, পাথরডুবি ও বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্প, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার, খামার পত্রনবীশ, মানিক কাজির কিছু অংশ, ভোটহাট গ্রাম ও ১নং পাথরডুবী ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করত।
বর্তমানে পুরো সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব মানুষ। এলাকাবাসীরা কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। ভেঙ্গে পড়া সেতুতে পাশ্ববর্তী ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান এরশাদ নিজ উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী জমির মাটি ফেলে দুইপাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছেন বলে জানান।
তিনি জানান, কারো সহযোগিতায় নয় স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজ অর্থায়নে মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জনচলাচলের ব্যবস্থা করছি। এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেই সেতুটি পুণঃনির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সেতুটির প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।