দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। গত দুই দিনের তুলনায় সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকালে শাহবাগ ঘুরে দেখা যায়, ঘর থেকে বের হওয়া মানুষেরা জরুরি প্রয়োজন ও নানা ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও অফিসে যেতে দেখা গেছে।
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও বেশ কিছু অফিস খোলা রয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তারা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে বা অন্যের গাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামবে না। প্রয়োজনে অফিস তার কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে। তবে সড়কে স্টাফ বাস এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দুটোই দেখা গেছে।
সকালে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি বিভাগের কর্মী লিটন আহমেদ বলেন, করোনার সময় লকডাউনের জন্য যাতায়াতে বেশ সমস্যা। স্টাফ বাস চালু থাকায় যা একটু সুবিধা। না হলে তো রাস্তায় কোনো গাড়িই পাওয়া যায় না।
সুস্মিতা দাশ নামে একজন বলেন, লকডাউনে ঘর থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা নেই। কিন্তু পরিবারের সদস্য অসুস্থ। তাই তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যই ঘর থেকে বের হওয়া।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে, বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলাফেরা করছে মানুষজন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলে যে যার মতো সরে পড়ছেন। এছাড়া সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সব দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা। কিন্তু দেখা গেছে খুলছে অন্যান্য দোকানও। কখনো দোকানের শাটার অর্ধেক খুলে আবার কোনো কোনো জায়গায় পুরোপুরি দোকান খুলে চলছে বেচাকেনা।
এসব বিষয়ে শাহবাগে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা বলেন, গত দুইদিনের চেয়ে আজকে গাড়ির চাপ কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের সংখ্যাও। এদের যাদের কাছেই আমরা বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছি, তারা সবাই জরুরি কারণ দেখাচ্ছে। এছাড়া অনেকে আছে নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। আমরা উপযুক্ত কারণ না পেলে বিগত দিনের মতোই ব্যবস্থা নিচ্ছি।