করোনা প্রতিরোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে গাবতলী ও আমিনবাজার ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি এড়িয়ে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যানে করে ঢুকছে মানুষ।
চাকরি, টিকা নেয়া কিংবা করোনা টেস্ট করতে ঢাকায় আসা এসব মানুষকে গুনতে হচ্ছে ৩ থেকে ৪ গুন বেশি ভাড়া। পরিবর্তন করতে হচ্ছে একাধিক যান। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহের বেশি সময় পরে এসব মানুষ ঢাকায় ফিরে পড়ছেন আরেক বিড়ম্বনায়, গণপরিবহন না থাকায় রিকশা হয়ে উঠেছে মূল পরিবহন। ইচ্ছামতো ভাড়া হাকছেন চালকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর ঢাকা প্রবেশ পথ আমিন বাজার ও গাবতলীতে পুলিশের কঠোর নজরদারি আছে। গাড়ি ও মোটরসাইকেল তল্লাশি সবই চলছে। কিন্তু চেকপোস্টের পাশ দিয়ে হেঁটে চলে আসছে দূর-দুরান্ত থেকে ঢাকায় ফেরা যাত্রীরা।
প্রবাসী শ্রমিক নাজির পাটওয়ারী বলেন, রিকশায় সাভার থেকে হেমায়েতপুর আসলাম ৩০ টাকা দিয়ে। পরে আরেক রিকশায় আমিনবাজার আসলাম ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে। এখন হাতিরঝিল যাব রিকশায় সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া চাইছে। ঢাকায় আসার কারণ যানতে চাইলে তিনি বলেন, কাল আমার ফ্লাইট। এজন্য ঢাকায় আসছি।
সকাল ৬টায় নাটোর থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ১২টায় আমিন বাজার ব্রিজে আসেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইফুল ইসলাম।
আমিন বাজার চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, অক্সিজেন কোম্পানিতে চাকরি করি। অফিস থেকে ঢাকায় এসে কাজে যোগদান করতে বলেছে। ঢাকায় আসতে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
রাজীব নামের এক গার্মেন্টকর্মী বলেন, অফিস থেকে বলছে সব কিছু খুলে দেবে তাই মানিকগঞ্জ থেকে চলে আসতে হলো। তিনি বলেন, অন্য সময় আসতে ১৫০ টাকার মতো খরচ হয়, তবে এবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে ৫০০ টাকার লাগল।
আমিন বাজার ব্রিজের গাবতলী পয়েন্টে তল্লাশি করত দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। যারা কারণ দেখাতে পারছে তাদের যেমন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে তেমনি অকারণে বের হলে যানবাহনে গুনতে হচ্ছে মামলা। আর ব্রিজের মাথায় রিকশা-ভ্যানকে যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
আমিন বাজার ব্রিজে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. বায়োজিদ মোল্লা বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে বিধি নিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অনেকেই ফিরছেন ঢাকায়। তবে যারা উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। সকাল থেকে একজনকে মামলা দেয়া হয়েছে।