তিন দিন হলো ঈদ যাত্রার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু গত দুই দিন কাউন্টারগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা। এমনকি স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কেউ আর আলাদা করে টিকিট কাটার জন্য বের হয়নি।
বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে এনা পরিবহনের মালিক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, যাত্রীর চাপ একেবারেই নেই। ১৫ দিন ধরে অর্ধেক বাস লোকসান দিয়ে চালাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে যারা ভ্রমণ করবে, তাদের টিকিট নেওয়ার ভিড় নেই। কাউন্টারে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় বাড়তে আরো সময় লাগবে।
ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি নিয়ে এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, সড়কের যেসব জায়গায় কাজ চলছে সেখানে যানজটে দুর্ভোগ তৈরি হবেই। বিআরটিএর কাজের জন্য টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত গাড়ি নড়তেই পারবে না। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এক লেন হওয়ায় সমস্যা হবে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতেও ভোগান্তি পোহাতে হবে।
শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, মাত্র টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আরো ১০ দিন অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। কে কবে বাড়ি যাবে, সেই সিদ্ধান্তই তো এখনো নিতে পারেনি। মূলত আগামী সাপ্তাহ থেকে টিকিটের জন্য চাপ বাড়বে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে বাসচালক দুলাল মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও এখন যাত্রীর চাপ কম। আর রমজানের ঈদে মানুষজন কম বাড়ি যায়। কোরবানির ঈদে বেশি যায়। তখন যাত্রীর চাপও বেশি থাকে।
ন্যাশনাল ট্রাভেলস পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা রায়হান মিয়া বলেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের টিকিটের শিডিউল আছে। টুকটাক স্বাভাবিক সময়ের মতোই এখন বিক্রি হচ্ছে। দু-এক দিন পরে অগ্রিম টিকিটের বিক্রি বাড়বে।