ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ১০টি পয়েন্টে যানজট প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়লেও যানজট নিরসনে সফল কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। ফলে আসন্ন ঈদ যাত্রাতেও চরম দুর্ভোগের শিকার হবে এসব রুটের যাত্রীরা। অবশ্য এসব বিষয় মাথায় রেখে ঈদে সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
সরেজমিনে মহাসড়ক ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন মহাসড়ক ৩৮ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের সিটি গেট থেকে শুরু করে উপজেলার বড়দারোগারহাট পর্যন্ত এলাকার এ সড়কটি যানজটমুক্ত হলে পার হতে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট। মহাসড়ক চার লেনের হওয়ায় প্রথম দিকে যাত্রীরা এ সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যেত। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এই অংশের বেশ কিছু পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে।
এসব পয়েন্ট হলো ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়ক, ভাটিয়ারী বানুরবাজার পোর্ট লিংক রোড, ভাটিয়ারী বাজার, সোনাইছড়ির কেডিএস লজিস্টিক ডিপোর সামনের সড়ক, কুমিরা রয়েল সিমেন্ট গেট, ছোট কুমিরা বাজার, সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড, শেখপাড়া (উত্তর বাইপাস) ও বড়দারোগারহাট স্কেল এলাকা। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা আরো কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সামনে কম-বেশি যানজট সৃষ্টি হয় প্রায়ই।
মহাসড়কে সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রী মো. রকি বলেন, এ সড়কে অব্যবস্থাপনা চরমে। কিছুদূর পর পর সড়কের পাশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অসংখ্য পণ্যবাহী গাড়ি মহাসড়ক দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে প্রায়ই যানজট দেখা দেয়।