গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত সাসেক-১ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩টি ফ্লাইওভার এবং এলেঙ্গা থেকে রংপুর মডার্ন মোড় পর্যন্ত সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের দ্বিতীয় নলকা ব্রিজ আগামীকাল চালু হচ্ছে।
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে জনদুর্ভোগ সহনীয় রাখতে যান চলাচলের জন্য এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
আজ রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নাওজোর, শফিপুর ও গড়াই ফ্লাইওভার এবং দ্বিতীয় নলকা ব্রিজ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলে উত্তরবঙ্গে যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
মহাসড়ক সচিব বলেন, এলেঙ্গা মোড়ে ইন্টারসেকশনগুলো চওড়া করে দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যে গাড়ি আসবে…এদিকে তারাকান্দা, মধুপুর, ঘাটাইল দিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহে যাওয়ার একটা রাস্তা আছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, ময়মনসিংহ-জামালপুরের গাড়িগুলো সেদিক দিয়ে ডাইভার্ট করার একটা অপশন আমরা রেখেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এ করিডোরে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে যানজট হয়। আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে এলেঙ্গা হাটিকুমরুল- এ করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, এবার কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখে আমাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম আছে, সেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাও বসাচ্ছি। আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করব। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি, যানজট অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘরে ফিরতে আমাদের ভোগান্তি হবে না। এর যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করেছি।