প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গত কয়েক দিন ধরেই ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তবে ঈদযাত্রার শেষ দিনেও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঈদযাত্রার শেষ দিনে ভোর থেকেই কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এর মধ্যেই এক ঘণ্টা করে দেরিতে ছেড়েছে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস এবং চীলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস। ফলে প্রচণ্ড গরম আর মানুষের ভিড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা ছিল ধূমকেতু এক্সপ্রেসের। তবে ট্রেনটি কমলাপুর ছাড়ে ৭টার কিছু সময় পর। একইভাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে চীলাহাটির উদ্দেশ্যে স্টেশন ছাড়ার কথা ছিল নীলসাগর এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেনটি যাত্রা করে ৭টা ৫৫ মিনিটে। অন্যদিকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে স্টেশন ত্যাগ করার কথা থাকলেও পরে সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় ৮টা ৫০ মিনিট। সাড়ে ৮টা পেরিয়ে গেলেও ট্রেনটি স্টেশনে এসে পৌঁছাতে পারেনি। তবে বাকি চার ট্রেন (সোনার বাংলা, এগার সিন্দুর, প্রভাতী, তিস্তা এক্সপ্রেস) সময় মতোই স্টেশন ছেড়ে যায়।
নারগিস সুলতানা নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল ৬টা ৪০ মিনিটে। এজন্য সেহরির পর পরই স্টেশনে এসেছিলাম। কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় দেরি করে ট্রেন ছাড়ছে। বাচ্চাদের নিয়ে ওয়াশরুমেও যেতে পারি না।
সাহাবুদ্দিন নামে আরেক যাত্রী বলেন, সোয়া ৮টায় স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। অথচ এখনও সুন্দরবন এক্সপ্রেস স্টেশনেই আসেনি। কখন পৌঁছাবে আর কখন ছাড়বে, জানি না।
তবে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন দেরি করে স্টেশনে আসায় ছাড়তেও দেরি হচ্ছে। এক কর্মকর্তা বলেন, যে কোনো ট্রেন স্টেশনে আসার পর ওয়াশ করা লাগে। তবে ট্রেন যদি সময়তো স্টেশনে পৌঁছায় তবে এসব কাজ করতে খুব বেশি দেরি হয় না।
এদিন ভোর থেকেই কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ঢল শুরু হয়। তবে কোনো যাত্রীকেই টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা অনলাইনে টিকিট কিনতে পারেননি তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ট্রেনের ছাদেও চড়ে বসেছেন।