সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ২০১৬ সালে। এরপর ছয় বছরেও করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে সেতু থাকলেও এর সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। প্রায় অর্ধযুগ ধরে অব্যবহৃত থাকায় সেতুর আশপাশে ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে।
মীরসরাই উপজেলার ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেদিনগর গ্রামের পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা একটি সেতু সংযোগ ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ ছয় বছর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়ক ব্যবহারকারী তিনটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ।
উপজেলার বারইয়ারহাট খাগড়াছড়ি সড়কে সংযুক্ত ফরেস্ট অফিস সড়কের পাহাড়ের পাদদেশে মেহেদিনগর গ্রামে শিমুলতলী ছড়ার (প্রাকৃতিক খাল) ওপর নির্মিত সেতুটি। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতাধীন ২০১৫-২০১৬ সালে এটি নির্মিত হয়। যদিও নির্মাণের তারিখ এবং নির্মাণ ব্যয় ঘষে মুছে দেওয়া হয়েছে।
সেতুটি যে সড়কের ওপর নির্মিত ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়ন, বারইয়ারহাট পৌরসভা, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সামাজিক বনায়নের ২০০ চাষি। ওই অঞ্চলে ৫০০ একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করেন তারা। সড়কের অভাবে সেতুর কোনো কার্যকর ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানান তারা। বর্ষার মৌসুমে ছড়া দিয়ে এক কোমর পানিতে চলাচল করতে হয় চাষিদের।
এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আবু তাহের বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। কোমর পানিতে নেমে কাপড় ভিজিয়ে এ পথ পাড়ি দিতে হয়। বাগানে যাওয়া যায় না। ফসলের ক্ষতি হয়।’
ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন চলাচলকারী খাদিজা আক্তার বলেন, ‘ছয় বছর ধরে অনেক কষ্টে আছি। রাস্তা ব্যবহার করতে পারি না। আমাদের চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যা হয়। এই সেতু করে আমাদের কোনো লাভ হয়নি।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোনামিয়া সওদাগর বলেন, ‘আগের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সেখানে রাস্তা তৈরির জন্য প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে আমরা কাজ শুরু করবো।’
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খুব শিগগির সরেজমিন পরিদর্শন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।