English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

রেলে বরাদ্দ বাড়ছে ২৫০১ কোটি টাকা

- Advertisements -

চলতি অর্থ বছরের তুলনায় আগামী অর্থ বছরে দুই হাজার ৫০১ কোটি টাকার বরাদ্দ বেশি পাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট ১৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা রেল খাতে থাকলেও এবার বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৮ হাজার ৮৫২ কোটি টাকায়। বরাদ্দের বেশিরভাগই অবকাঠামোগত উন্নয়নে খরচ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনায় এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০১৬ থেকে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর মেয়াদি সংশোধিত মহাপরিকল্পনা অনুসারে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার, মোংলা বন্দর, টুঙ্গীপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও আঞ্চলিক রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপন এবং উন্নত কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সঙ্গে নিকটবর্তী শহরতলীর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ মহাপরিকল্পনার আওতায় ছয় ধাপে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

মুস্তফা কামাল আরো বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় রেলওয়ের জন্য ৭৯৮.০৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, বিদ্যমান রেললাইনের সমান্তরালে ৮৯৭ কিলোমিতার ডুয়েল গেজ/ডাবল রেললাইন নির্মাণ, ৮৪৬.৫১ কিলোমিটার রেল লাইন সংস্কার, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেইটসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ, ওয়ার্কশপ নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, ১৬০টি লোকোমোটিভ, এক হাজার ৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশন সিগনালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নসহ রেলওয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া যমুনা নদীতে ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। তাছাড়া দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী গুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ কাজের ৭১ শতাংশ সমপন্ন হয়েছে এবং খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সমপন্ন হয়েছে।

এ ছাড়া রূপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার পায়রা বন্দরকে পদ্মা রেল সংযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন