ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেলে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এবং যাত্রামুড়া, তারাবো, রূপসী, কর্ণগোপ, ভুলতা এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর, মদনপুর, মোঘরাপাড়া ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক গতিতে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটছে বিভিন্ন যানবাহন। মহাসড়কে এখনো তেমন যানবাহনের চাপ বাড়েনি। তবে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্টার লাইন পরিবহনের চালক আজিজুল হাকিম বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় ভারী যানবাহন না চললেও ঈদুল আজহায় গাড়ির চাপ বেশি থাকবে। তবে ঈদুল ফিতরের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে দায়িত্বপালন করলে যাত্রা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন তিনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। এটি দেশের ইকোনমিক লাইফলাইন। স্বাভাবিকভাবে এই মহাসড়কে দৈনিক ২০-২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করলেও ঈদের কয়েকদিন আগে এ সংখ্যা বেড়ে কয়েকগুণ হতে পারে।
তিনি বলেন, ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য কর্মীসহ পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে দায়িত্বপালন করছেন।
‘প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন ছাড়াও মহাসড়কে ৬টি হোন্ডা পার্টি, ৬টি মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে। মহাসড়কে যে কোনো গাড়ি বিকল হয়ে গেলে তা সরানোর জন্য তিনটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোথাও গাড়ি থামিয়ে রেখে যাতে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি’, যোগ করেন ওসি।