বরিশালের বানারীপাড়ায় কচুয়া গ্রামে এক বছরেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় অর্ধকোটি টাকার আয়রন ব্রিজে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো মই দিয়ে উঠতে হয়। এটা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সবাইকে। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উপজেলার বাইশারীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৪০টি আয়রন ব্রিজের নির্মাণকাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ। এর মধ্যে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জাফর তালুকদারের বাড়ির সামনে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় এক বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় জনভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয়রা দু’ পাশে বাঁশ ও কাঠের মই (সিঁড়ি) তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নতুন ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশিক্ষার্থী, বৃদ্ধজন ও প্রসূতিসহ নারীদের ওই ব্রিজ দিয়ে আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না। এদিকে, ওই ব্রিজটির ডিজাইনও অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এর পশ্চিম প্রান্তে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে দরিদ্র একটি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে ব্রিজের নির্মাণকাজের সাব কন্ট্রাক্টর ইনান বলেন, শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে। শুধু এ ব্রিজটিই নয়, নতুন নির্মিত ৪০টি ব্রিজের অধিকাংশেরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় একইভাবে বাঁশ ও কাঠের মই দিয়ে ওইসব এলাকার জনসাধারণকে এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ব্রিজগুলোর উচ্চতা বেশি হওয়ায় নিচু রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণে জটিলতার সৃষ্টি হবে। ব্রিজে নামতে ও উঠতে গিয়ে যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি ব্রিজের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে সংযোগ সড়কসহ ব্রিজগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।