মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দুই ফেরিতে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়ে পদদলিত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ১২ যাত্রী।
আজ বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুটর্ঘনা ঘটে। এরমধ্যে শাহ পরানে একজন ও এনায়েতপুরীতে পাঁচজন মারা যান।
জানা গেছে, ফেরি থেকে যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পায়ের নিচে চাপা পড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ সময় ১২ থেকে ১৫ জনের মতো আহত হন। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম আনসার মাতবর। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে এনায়েতপুরী ফেরিটি বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় পন্টুনে কিছু যাত্রী দাঁড়িয়েছিলেন। পন্টুন উঠানোর সময় এটি খাড়া হয়ে গেলে তারা অন্য যাত্রীদের মধ্যে পড়ে যান। এসময় হুড়োহুড়ি ও গরমে তারা মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফেরিটি বাংলাবাজারে পৌঁছলে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে শাহ পরান নামের রোরো ফেরিটি ভিড়লে নামার সময় যাত্রীদের চাপে আনসার মাদবর নামের এক কিশোর যাত্রীদের চাপে অসুস্থ হয়ে ফেরির পন্টুনেই মারা যায়।
আনসার মাদবরের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামে।