পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম শুক্রবার হওয়ায় দর্শনার্থী এসেছে বেশি। এ কারণে দুপুরের পর থেকে জাজিরা প্রান্তে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে টোল আদায়েও কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সব মিলিয়ে সেতুর এ প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত দশটায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত জাজিরা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এবং পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজা থেকে দক্ষিণে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের চালক হেলাল হোসেন বলেন, সেতু এলাকায় এসে দীর্ঘ যানজটে পড়েছেন। যানজটে আটকে আছেন ৫০ মিনিটেরও বেশি।
স্বাধীন এক্সপ্রেস পরিবহনের চালক হোসেন বলেন, ভাঙ্গা থেকে টোলপ্লাজার দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এই পথ আসতে ২০ মিনিট সময় লেগেছে। কিন্তু টোলপ্লাজা এলাকায় এসে যানজটে আটকে আছেন ৩০ মিনিটেরও বেশি।
প্রাইভেটকারের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর থেকে বরযাত্রী নিয়ে যাবেন ঢাকা। মাদারীপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। যানবাহনের জট বাড়ার কারণে আজ লাগবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
যানজটে পড়া কয়েকজন চালক ও যাত্রী টোল আদায়ে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানান।
ব্যক্তিগত একটি গাড়ির যাত্রী মিলন ও মুন্না বলেন, ছুটির দিন পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন পদ্মা সেতু দেখতে। সেতু পাড়ি দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় জাজিরা প্রান্তে এসেছেন। পুরো সেতু ঘুরে দেখেছেন। ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে টোলপ্লাজায় দেরি হচ্ছে।
জাজিরার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আরিফুজ্জামান বলেন, দুপুর থেকে জাজিরা টোলপ্লাজা এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি। প্রাইভেটকারে দর্শনার্থী ও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেশি। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আজ প্রথম শুক্রবার, ছুটির দিন। তাই সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে গাড়ি বেশি এসেছে। তাছাড়া ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের কারণে দুপুর থেকে জাজিরা প্রান্তে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে টোল আদায়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবেই টোল আদায় করা হচ্ছে।