দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ও যানবাহনের বাড়তি চাপে দৌলতদিয়ার কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে আটকে রয়েছে ছয় শাতাধিক যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা ও গোয়ালন্দ মোড়ের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়।
সরজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় রয়েছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ও বাসসহ অন্তত চার শতাধিক যানবাহন। জেলার গোয়ালন্দ মোড়ের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও অন্তত দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।
তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা কোরবানির পশু অসুস্থ হতে দেখা গেছে। সড়কে আটকে থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বাসচালক ও যাত্রীরা।
সড়কে আটকে থাকা এক গুরু ব্যবসায়ী বলেন, গরম থেকে বাঁচাতে গরুকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছি। অনেকের গরু ট্রাকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবে গরু অসুস্থ হলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে।
যাত্রীবাহী এক বাসচালক বলেন, এখন ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ কম। মূলত যাত্রী নিয়ে আসতে ঢাকায় আসছেন তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় সময় মত পৌঁছাতে পারবো কিনা জানিনা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে। যে কারণে দৌলতদিয়ায় দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এরুটে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।