ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ বেড়েছে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে। এ ঘাটে দুই শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে। পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে এসব যানবাহনকে। মাঝিরঘাটে চারটির পরিবর্তে বর্তমানে পাঁচটি ফেরি চালাচল করছে। তারপরও ভোগান্তি কমেনি যাত্রীদের।
শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি ফেরি ঘাটটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের সহজতর মাধ্যম হওয়ায় দিন দিন যানবাহনের চাপ বাড়ছেই এ ঘাটে। শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের যাত্রীরা এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু ঘাট এলাকার রাস্তাগুলো সরু হওয়ায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
শনিবার এ ঘাটে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ অনেক বেশি দেখা গেছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক যাত্রী লঞ্চে ঘাট পার হয়ে লোকাল বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০টি লঞ্চ, ৫০টি সি-বোর্ড ও ৪টি ফেরি দিয়ে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য হালকা পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে মাঝিকান্দি ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিএ’র মাঝির ঘাটের ইনচার্জ আবদুল্লাহ ইনাম জানান, শনিবার সকাল থেকে এ পথে ঢাকাগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি, যাতে ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে পারে।