ঈদুল আজহার ছুটির শেষে কঠোর বিধি নিষেধের প্রথমদিনে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী শত শত যানবাহন। এসব যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নৌরুট পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় দুইশ’ যাত্রীবাহী বাস। এছাড়াও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫নং ফেরিঘাট এলাকা থেকে বাইপাস সড়কে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় শতাধিক যানবাহন। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের যাত্রী মো. শাহ মুরাদ বলেন, রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে এসে এখন পর্যন্ত ফেরিপার হতে পারিনি। সারারাত বাসের মধ্যে অপেক্ষা করেছি। প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ীর চাপ থাকার কারণে বাস ও ট্রাক পার ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাগুরা থেকে ছেড়ে আসা বাসচালক বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ঈদের পর কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ ছিলো মাত্র একদিন। যে কারণে মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে হাজার হাজার প্রাইভেটকার পার হওয়ার কারণে যাত্রীবাহী বাসগুলো আটকে রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। রাতে ব্যাপক ব্যক্তিগত গাড়ীর চাপ থাকায় যাত্রীবাসী বাসগুলো আটকে রয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বিধি-নিষেধের মধ্যেও ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।