পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে সড়ক ও নৌপথে। ব্যতিক্রম নয় রেল পথও। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল কমলাপুর রেলস্টেশনেও বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
ঈদ যাত্রার শুরু থেকে নিয়ম মেনে রেল চলাচল করলেও, শেষ মুহূর্তে ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে ছেড়েছে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া ঝাঞ্জাইলগামী বলাকা ট্রেন। ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি রেলব্রীজ এলাকা থেকে আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ৯ মিনিটে একটি ছবি তুলেছেন সৌখিন আলোকচিত্রশিল্পী সাদিক খান। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছাদ ভর্তি যাত্রী।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, সন্দেহ নেই। সড়কপথে দুর্ঘটনা, যানজটসহ বিভিন্ন কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন ক্রমেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
ট্রেনে উপেক্ষিত রয়ে গেছে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ও। এতে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীসাধারণ। ছিনতাইতারীরা কৌশলে যাত্রীদের স্বর্ণালঙ্কার, টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য দামি জিনিস ছিনিয়ে নিচ্ছে। ঢিল নিক্ষেপ, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য, চোরাকারবারিদের উপদ্রব সত্ত্বেও ট্রেনকে নিরাপদ মনে করেন সবাই।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের অন্যতম লক্ষ্য থাকে ট্রেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে রেলওয়ে চেষ্টা করছে ঈদে অধিক সংখ্যক যাত্রী বহনের। এর জন্য অতিরিক্ত ট্রেন সেবাও চালু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া টিকিট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরায় ঝামেলাবিহীন ঈদযাত্রায় ট্রেনকেই বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা। তবে প্রতি বছর ট্রেনে যে পরিমান যাত্রী চাপ দেখা দেয় সে পরিমান চাহিদা এখনো ট্রেন পুরন করতে সক্ষম হয়নি।
বর্তমান সরকার রেলে আধুনিকীকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ঈদে বাড়তি চাপ সামলানোর বিষটাকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরে নিতে হবে। ঈদে অধিক যাত্রীর চাপে ছাদে ভ্রমণ যাত্রীদের জীবন ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় ও স্বস্তিকর ভ্রমণের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। যাত্রীরা নিরাপত্তা পেলেই ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক হবে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক জ ই মামুনের৷ ফেইসবুক ওয়াল থেকে ছবি ও ছবির তথ্য নেয়া হয়েছে।