কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। অসহায় মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে।
এদিকে সবশেষ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদরের কলেজ মোড় এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডায় অবস্থা খুব খারাপ। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। রাতে ঘর থেকে বের হওয়ার যায় না। বেশি সমস্যায় আছে বাচ্চারা।
ওই এলাকার কৃষি শ্রমিক ছাত্তার বলেন, যে শীত তারপরও বোরো বীজতলা তৈরি করছি। সকালে পানিতে নামাই যায় না। হাত পা বরফ হয়ে যায়। তারপরও বীজতলা করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ মাসের ১৫ তারিখের পর কমপক্ষে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।