তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের চাকরি না হলেও ভাইয়া যদি চাকরি করতো তাহলে অনেক খুশি হইতাম। আজকে আমাদের এতো কিছু আছে কিন্তু মনে খুশি নাই। অনেক খারাপ লাগতেছে এই দিনটাতে। আমার ভাইয়ের সাথে যারা নির্মম অত্যাচার ও অবিচার করেছে তাদের প্রত্যেকের শাস্তি ও ফাঁসি চাই। এটাই আমাদের দাবি। কারণ আমার ভাই কোনো সন্ত্রাস ছিল না, কোনো অন্যায় করে নাই। একটা ন্যায্য অধিকার চাইছিল, ছাত্রদের অধিকার। সেই অধিকার চাওয়ার কারণেই আমার ভাইকে গুলি করে মারছে।’
বেরোবির ভিসি অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ যে মেধাবী ছিল, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। কিন্তু আবু সাঈদ জীবদ্দশায় তা দেখতে পারল না। তার আত্মত্যাগের মূল্য আমরা তাকে দিতে পারব না। সারাবিশ্বে সে প্রমাণ করেছে সে একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। তার জন্য দোয়া করছি, সে যেন জান্নাতবাসী হয়।’
গত১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।