রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে গত এক সপ্তাহে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ নারী। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজের (রমেক) বার্ন ইউনিট চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ১৪টি বেড রয়েছে।কিন্তু বিভিন্নভাবে আগুনে পোড়া রোগী ৪৬ জন ভর্তি রয়েছে। এসব পোড়া রোগী অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে পাঁচ নারী বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন।
তারা আরো জানায়, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জফুলা বেগম নামের এক নারী খড়কুটার আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন।তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর তিন দিন আগে নীলফামারীর পলাশী এলাকা থেকে সালমা নামের এক নারী ভর্তি হন বার্ন ইউনিটে। প্রতিদিনই এ শীতে পোড়া দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক শাহিন শাহ জানান, এবারের শীতে পাঁচ নারী দগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন।এর মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আরো দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জনগণের সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, শুক্রবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ না হলেও তাপমাত্রা আরো কমবে।