English

26 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

বেরোবিতে টিকটকারদের দৌরাত্ম্য, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট, নিরব প্রশাসন!

- Advertisements -

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বেড়েছে বহিরাগত টিকটকারদের দৌরাত্ম্য। ক্যাম্পাসের ভেতরে অবাধে অসামাজিক টিকটক তৈরি করছেন কিছু তরুণ-তরুণী। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে টিকটক শুটিংয়ের নামে নানান নোংরামি করলেও এসব বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, এমনকি শিক্ষকরাও।
তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকটকের নামে এসব কার্যকলাপ বন্ধ করে একটি সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ নিয়ে আসা দরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিসত্ত্বর এদের (টিকটকার) ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে পোস্ট করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, স্মাধীনতা স্মারক, বিজয় সড়ক, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের গেটের সামনের সড়ক, শেখ রাসেল মিডিয়া চত্ত্বর, গ্যারেজ রোড সংলগ্ন মাঠ সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় টিকটকাররা অবাধে শুটিং করছেন। তাদের বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ অঙ্গিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের চরমভাবে বিব্রত করছে। এমনকি অনেক টিকটিকার ও ক্যামেরাম্যান নারী শিক্ষার্থীদের দেখে অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টিয়াল বডির নজরদারির অভাবের সুযোগ নিয়ে অবাধে টিকটক করছেন তারা। শুধু টিকটক নয় সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেল মহড়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলাচলকারীদের জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে।

জানা যায়, কিছুদিন আগে টিকটকার আর বাইকারদের অবাধ প্রবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গতিসীমা ১০ কি.মি নির্ধারণ করে দেন৷ কিছুদিন এই নিয়ম চালু থাকলেও বর্তমানে প্রশাসনের অবহেলায় এখন তা আগের থেকে ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে৷

টিকটক বাইকাররা ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালান। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ন্ত্রণহীন এমন চলাফেরা শিক্ষার্থীদের ভীতি সঞ্চার করছে। ক্যাম্পাসের ভেতর আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত নাজমুন জেরিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগত টিকটকারদের উৎপাত দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা যেমন অবাধে যে কোন জায়গায় টিকটক করছেন। তেমনিভাবে তারা নারী শিক্ষার্থীদের দেখলে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। ‘

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ওসি এজার আলী বলেন, ‘আমরা দ্রুত এ বিষয়ে মিটিং করে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বহিরাগত কিংবা অভ্যন্তরীণ যেই হোক না কেন যারা সমাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোন কিছু করছে জানতে পারি, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। ‘

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন