নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ও গোমনাতিতে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এছাড়া ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার টার দিকে ঝড় বয়ে যায়। এতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। একইসঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে আমার ভুট্টা ও মরিচ খেত একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের খেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
চিলাহাটি বাজারের ব্যবসায়ী সাকিল ইসলাম বলেন, ‘কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বাজারের বেশ কিছু দোকান ভেঙে পড়েছে। বড় কয়েকটি গাছ উপড়ে রাস্তায় পড়েছে।’
খামারি সৌরভ হোসেন বলেন, ‘আমার খামারের ৭টি শেড ভেঙে পড়েছে। এতে আট হাজার ব্রয়লার মুরগি ও দেড় হাজার লেয়ার মুরগির অধিকাংশই মারা গেছে। জীবিত মুরগীগুলো শুকনো জায়গায় রাখতে না পারায় সেগুলোও মারা যাচ্ছে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ চারদিকে অন্ধকার হয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় প্রচণ্ড বাতাস, সেই সঙ্গে বৃষ্টি। বাতাসে ছোট-বড় গাছ, কাঁচাপাকা ঘর-বাড়ি উপড়ে পড়েছে। মরিচ ও ভুট্টার গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। আম ও লিচু ঝড়ে পড়েছে। এছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জাজামান বলেন, ‘কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পাশাপাশি তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।’