মাহমুদ হাসান নাঈম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়ায় আদিবাসি মিলনমেলার নামে শুরু হয়েছে মেলা। গত কয়েকদিন থেকে চলছে এ মেলা। মেলায় প্রতিদিন দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ড বক্স বাজানোর কারণে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় শিশু/ কিশোরদেরকেও দেখা গেছে এই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য দেখতে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে বার বার এমন যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য বন্ধে অভিযোগ করা হলেও মেলা কমিটি বিএনপি নেতাদের আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাদের মেলা চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সার্কাস পেন্ডেলে প্রদর্শিত হচ্ছে অশ্লীল নৃত্য। আর যাত্রাপালায় চলছে দর্শকদের মনোরঞ্জনে টাকার ফুলঝুরিতে মেয়েদের শরীর প্রদর্শনী। রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত শুধুই অশ্লীলতা ও বিকৃত যৌন আবেদনে ভরা উলঙ্গ নৃত্য এবং অরুচিকর গানের আগ্রাসন। উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও গ্রাম্য যুবকসহ দূর-দূরান্তের বিকৃত মানসিকতার মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তাদের আড্ডায় জমে উঠছে মেলা প্রাঙ্গন।
স্থানীয়রা জানান, মেলার মাইক ও সাউন্ড বক্সের উচ্চশব্দে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও সন্ধ্যা হলে ছেলেরা পড়ালেখা বাদ দিয়ে মেলায় চলে যায়। চোখের সামনে এমন অশ্লীলতার মেলা চললে নিজেদের আত্মসম্মান বোধ আর থাকে না। নৃত্যের সময় নর্তকীদের সাথে আবার অনেকেই অশ্লীলতায় অংশ নিয়ে আরো অনেক বেশি টাকা ব্যয় করছে।
তারা বলেন, মেলার আয়োজক কমিটি টাকা রোজগারের জন্য এই মেলা চালু করেছে, যা নিন্দনীয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি বুলবুল ইসলামের কাছে মেলার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি নিরাপদ নিউজকে জানান, ফুলপুকুরিয়া আদিবাসি মেলা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আয়োজন করেছে আয়োজক কমিটি। মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য কেন চলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিরাপদ নিউজকে আরও বলেন, মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য চললে দ্রুত তা বন্ধ করা হবে।
মেলার অনুমতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।