কুড়িগ্রামের উলিপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় দুই মেয়ে ফেল করায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শিক্ষক বাবার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের বাহারবন্ধ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত আব্দুল গফফার দলদলিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষক। তার দুই মেয়ে গিনি ও পিংকি রাজারহাট ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। দলদলিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের (ইউপি) মেম্বার আজিজুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। মাদরাসা শিক্ষক আবদুল গফফার মিয়ার দুই মেয়ে গিনি ও পিংকী এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিতে গিয়ে জানতে পারেন তারা উভয়ে ফেল করেছেন। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
প্রতিবেশী আব্দুল মতিন জানান, ফলাফল শুনে বাসায় ফিরে ফেল হওয়ায় দুই বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাবা আব্দুল গফফার মাদরাসা থেকে বাসায় ফিরে তার কান্নারত মেয়েদের দেখে বলেন, “আমি এখন এদের বিবাহ দেব কোথায়” এ কথা বলতে বলতে তিনি ঘরে ঢুকে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা তাকে তুলে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান মুন্সি বলেন, উনি দীর্ঘদিন যাবত হার্টের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। কাল তার দুই মেয়ের ফেলের খবর শুনে অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান এবং তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জানাজা ও দাফন হয়েছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, এ রকম খবর আমার জানা নেই। বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি।