বর বৈদ্যনাথ দেবশর্মা (১০৭) ও কনে পঞ্চবালা দেবশর্মা (১০১)। বয়স শতাধিক হলেও বেদমন্ত্র পড়ে আবারও বিয়ে করেছেন স্বামী-স্ত্রী। গত রোববার রাতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম দক্ষিণ মেড়াগাঁওয়ে ধুমধাম করে সম্পন্ন হয়েছে ব্যতিক্রমী এ বিয়ে। পাঁচ শতাধিক কার্ড ছাপিয়ে বিয়ের নিমন্ত্রণ দেওয়া হয় আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়দের।
বিবাহ আসরে সনাতনী এ বেদমন্ত্র দিয়ে বরাবরই হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা বিয়ে সম্পন্ন করেন। তবে এবার এই বেদমন্ত্র পড়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন শতবর্ষী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বিয়ের আয়োজনে ছিল না কোনো কমতি। বিবাহবাসরে ব্রাহ্মণ দিয়ে শুধু বেদমন্ত্রই নয়, নাচ-গান, বাদ্য-বাজনা আর সনাতন রীতিতে ধুমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে এই বিয়ে।
বর দক্ষিণ মেড়াগাঁও গ্রামের স্বর্গীয় ভেলগু দেবশর্মার ছেলে বৈদ্যনাথ দেবশর্মা (১০৭)। আর কনে তারই ৯০ বছর আগে বিয়ে করা স্ত্রী পঞ্চবালা দেবশর্মা (১০১)।
বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে তিনি উল্লেখ করেন ‘পরম করুনাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমার বয়স ১০৭ বছর। আমার স্ত্রী শ্রীমতি পঞ্চবালার সহিত প্রায় ৯০ বছর পূর্বে বিবাহ সুসম্পন্ন হয়। পুনঃবিবাহ মিলন ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে আমার নিজ বাসভবনে উপস্থিত থাকার বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পত্র দ্বারা নিমন্ত্রণ করিলাম। ত্রুটি মার্জনীয়।’
বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া বৈদ্যনাথ তার বিয়ের কার্ডে বয়স ১০৭ উল্লেখ করলেও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স ৯২ বছর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স ভুল আছে। তার পিতা স্বর্গীয় ভেলগু দেবশর্মার হাতে লিখে যাওয়া জন্মতারিখ অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১০৭ বছর।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পাঁচ প্রজন্ম পার হয়েছে। এজন্যই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আবার এ বিয়ে। বংশধরদের মঙ্গলের জন্যই এ বিয়ের আয়োজন।’