শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ দুই নারীর রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা.শাহিন শাহ।
তিনি জানান, তীব্র শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের ফুলবাড়ির তারামনি রায় (৮৫) ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার আশা রানী (৪৫)।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে তীব্র শীতের কারণে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নারী ও শিশুরা বেশি দগ্ধ হচ্ছেন। গত বছর অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২৫ জনের বেশি মারা গিয়েছিল। এবারও শীতের শুরু থেকে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সাত দিনে ২৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন।
এদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালের ১৪ শয্যার বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ বলেন, শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসাধীন রোগীদের বেশিরভাগের শরীরের নিচের অংশ ৩০ থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। গুরুতর অসুস্থ্য দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।