লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর এলাকায় বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় অভিমান করে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মেয়ে মরিয়ম বেগম (২২)। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশংকাজনক অবস্থায় মরিয়মকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাটগ্রাম পৌরসভার বাস টার্মিনাল এলাকায় বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মরিয়ম বেগম ওই এলাকার জহুরুল ইসলামের মেয়ে এবং হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও দ্বিতীয় বিয়ে করেন জহুরুল ইসলাম (৫০)। এ কারণে অভিমান করে প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। পরে বাবার দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি চলে আসেন মেয়ে মরিয়ম। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ঘরে ঢুকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মরিয়ম। এর পর মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই দগ্ধ হন বাবা জহুরুল ইসলাম। দগ্ধ বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে শুক্রবার ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়ে মরিয়মকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাবা-মেয়ে দুজনেই দগ্ধ হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি।