নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নে স্বামীকে তালাক দিয়ে স্বামীর বন্ধু প্রেমিককে বিয়ে করেছেন এক গৃহবধূ। স্থানীয়দের ডাকা সালিশি বৈঠকে স্বামীকে তালাক দিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে ভোগডাবুরী ও গোমনাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক বৈঠকে তালাক ও বিয়ে সংঘটিত হয়।
ওই নারী ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চিলাহাটি গোসাইগঞ্জ গ্রামের বরকত আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় ও সালিশি বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের সঙ্গে ওই নারীর ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। রবিউল ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে রবিউলের সঙ্গে কাজ করেন আরিফ নামের এক ব্যক্তি। আরিফ গোমনাতি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
গত ঈদের সময় বাড়িতে আসেন রবিউল। ওইসময় তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আরিফ। এরপর থেকে রবিউলের স্ত্রীর সঙ্গে আরিফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জেনে রবিউল তার স্ত্রীকে সতর্কও করেন।
সোমবার (৭ মার্চ) রাতে রবিউল বাড়িতে না থাকার সুযোগ আরিফ ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তারা একই ঘরে অবস্থান করেন। আজ ভোরে আরিফ হোসেন চুপিসারে চলে যান।
আরিফকে চলে যেতে দেখেন রবিউলের বাবা-মা। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে আরিফ গণপিটুনি দেন। পরে এ ঘটনায় সালিশ হলে ওই নারী রবিউলকে তালাকে দেন এবং আরিফকে বিয়ে করেন।
গোমনাতি ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মেদ ফয়সাল শুভ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘দুই পক্ষের সম্মতি নিয়ে রবিউলের স্ত্রী রবিউলকে খোলা তালাক দিয়ে তার প্রেমিক আরিফকে বিয়ে করেন। ছেলেসন্তানটি রবিউলের কাছে থাকবে বলে সালিশে সিদ্ধান্ত হয়।’