দিনাজপুরের বৃহত্তম গরুর হাট পার্বতীপুরের আমবাড়ী। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে কাক ডাকা ভোরে বসানো হয় হাটটি। এরই মধ্যে শত শত গরু বিক্রি হয় হাটটিতে।
খবর পেয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাশিদ কায়সার রিয়াদ অভিযান চালিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে আমবাড়ীর হাটটি বন্ধ করে দেন। এসময় অনেকের গরুর দড়ি ছেড়ে দিক-বিদিক ছুটে পালায়। দুপুরের পর হাট ফাকা হয়ে যায়। পরে হাটে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে চার জন গরু ব্যবসায়ীকে ২ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা করা হয়।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম গরুর হাট নামে পরিচিত এই আমবাড়ীর হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে আসে। এরই মধ্যে গরু ট্রাকে ভরে নিয়ে যান তারা। কিন্তু করোনার কারনে সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না গরুর হাটে। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ইজরাদার কৌশলে সোমবার কাক ডাকা ভেরে আমবাড়ী হাটটি বসায়। গত রবিবার রাত থেকেই গরু আসা শুরু হয় হাটে। আর ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই শুরু হয় গরু কেনাবেচা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কয়েক শত গরু বিক্রি হয়ে যায় হাটে।
আমবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশাদুজ্জামান জানান, সাপ্তাহিক গরুর হাট না বসাতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও হাট বসিয়েছেন ইজরাদার।
আমবাড়ী হাটের ইজারাদার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতি সোম ও শুক্রবার আমবাড়ী হাট বসে। এ বছর ৫ কোটি ১১ হাজার টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন তারা। গত বছরেও তাদের লোকশান হয়েছে। করোনার কারনে হাট চালানো না গেলে আবারও লোকশান গুনতে হবে তাদের।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাশিদ কায়সার রিয়াদ বলেন, ইজারাদারকে হাট বন্ধ রাখতে বলা হলেও ভোর থেকে হাটে গরু বেচা-কেনা শুরু করেছিল। তাই অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়েছে আমবাড়ী হাটটি। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে চার জন গরু ব্যবসায়ীকে ২ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা করা হয়।