নিহত কিশোরের চাচা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের মন্টু রহমান ও আহেলা খাতুন দম্পতির ছেলে মোস্তাকিন। সে সৈয়দপুর শহরের অদূরে ঢেলাপীরে একটি সাবান কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। ঘটনার দিন কারখানা ছুটি থাকায় সে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বাড়ির পাশের খড়খড়িয়া নদীর দীঘলডাঙ্গী ব্রিজে যায়। এ সময় টিকটক তৈরি জন্য ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে লাফ দেয় মোস্তাকিন। এ সময় পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সে। লাফ দেওয়ার দৃশ্যটি তার বন্ধুরা মুঠোফোনে ভিডিও করছিল।
খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে এসে ওই কিশোরকে উদ্ধারে নদীতে নামেন। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ গজ দূরে মোস্তাকিনকে উদ্ধার করেন কর্মীরা। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হাসানাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।