ঘরে নববধূর লাশ ফেলে রেখে নাকফুল নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন এক স্বামী। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পূর্ব রামখানা দোলারপাড় গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাসখানেক আগে ওই এলাকার আবদার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাবুর (৩০) সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুছ সালামের মেয়ে তারামনির (১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই লাশ হলো তারামনি।
নিহত তারা মনির বাবা আব্দুছ ছালাম ও তার ভাবি আফরোজা বেগম জানান, তারা সকালে মোবাইলে খবর পান তাদের তারামনি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসলে দেখেন তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা ও ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। বালিশে রক্তের দাগও ছিল। গায়ে বিষের গন্ধ ছিল না। নাকে নেই নাকফুলটি। নাকফুল নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন জামাতা হাফিজুর রহমান হাবু।
হাফিজুর রহমান হাবুর মা হাছনা বেগম জানান, সেহেরির সময় ছেলে ও ছেলের বউকে তিনি সেহেরি খাওয়ার সময় ডাকাডাকি করেন। কিন্তু রোজা থাকবে না বলে সেহেরি খেতে ওঠেননি ছেলে ও ছেলের বউ। পরে সকালে ছেলের বউকে ডাকতে গেলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন কম্বল দিয়ে মোড়ানো পুত্রবধূ। ছেলেও ঘরে নেই। কোথায় গেছেন জানেন না।
একই ধরনের তথ্য দেন হাফিজুরের ছোট ভাই হাসান আলীও (১৩)। এ ছাড়াও হাফিজুর রহমান হাবুর এর আগে আরো ২ জন স্ত্রী ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবীর বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত একটি ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।