গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সরাকারের বিরুদ্ধে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছেন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন আকন্দ।
শাহিন আকন্দ বলেন, সাবেক মেয়র অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পৌরসভার যে ক্ষতি করেছেন এর জন্য তাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি আরও বলেন সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সরকার পৌরসভার বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন ধরে ৬ জন কর্মচারীর নামে বেতন প্রদান করেছেন। যে ৬ জনকে তিনি বেতন প্রদান করেছেন তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। যদি কোন অস্তিত্ব থাকে তাহলে জনসম্মুখে তা উপস্থাপন করার আহবান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করে শাহিন আকন্দ বলেন আপনি যদি এই ৬ কর্মচারীর অস্তিত্ব প্রমান করতে পারেন তাহলে আমি আমার রাজনীতি ছেড়ে দিবো।
সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আ’লীগের সভানেত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের কখনও ছাড় দেন না। বাংলার মাটিতে আপনার মত দুর্নীতিবাজদের বিচার হবে।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপন ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শাহিন আকন্দ।
আজ ২৯ মার্চ ২০২১ সোমবার দুপুর ০২:০০ ঘটিকায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার শহীদ মিনার চত্তরে এই আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । কাউন্সিলর ছামস উদ্দিন ভেলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের কৃতি সন্তান, গোবিন্দগঞ্জ পৌরবাসির মাটি ও মানুষের নেতা নব-নির্বাচিত মেয়র জননেতা মুকিতুর রহমান রাফি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছিল। শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল।
মুক্তিযুদ্ধে অগ্নিঝরা দিনগুলো সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য আমরা বাঙ্গালিরা এত কিছু করেছি, এত রক্ত, সংগ্রাম, আন্দোলন, জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করেছি সেই স্বাধীনতা আনতে পেরেছি। এর চেয়ে বড় কিছু পাওয়ার থাকতে পারে না।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ, লক্ষ্য সামনে নিয়ে আমরা বাঙ্গালিরা যুদ্ধ করছিলাম। দেশকে স্বাধীন করলাম। আজকে নতুন প্রজন্মকে এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখেই আদর্শকে ধরেই তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটাই আমার প্রত্যাশা। আমাদের নৈতিক চরিত্র, নীতি-আদর্শ অন্য দেশের মানুষ যাতে রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, ঠিক সেই পর্যায়ে নতুন প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটাই আমি প্রত্যাশা করি।
চ্যালেঞ্জ এর ব্যাপারে সাবেক মেয়রের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি শাহিন আকন্দের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করেন।
উক্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন সাবেক সফল সভাপতি ও সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার, প্যানেল মেয়র-২ রিমন কুমার তালুকদার, ,কাউন্সিলর জাফুরুল ইসলাম জাফু, মিজানুর রহমান রিপন, মোকলেসুর রহমান মোকলেস, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা খাতুন সুইটি, মোছাঃ জোহরা বেগম,ও মোছাঃ জাহানারা বেগমসহ পৌর আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।