English

22 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

গোবিন্দগঞ্জে মামলার ১ মাস পরেও গ্রেপ্তার হয়নি যুবলীগ নেতা, বাদীকে হুমকি

- Advertisements -

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার ১ মাস পরেও গ্রেপ্তার হয়নি অব্যহতি পাওয়া যুবলীগ নেতা জিয়াউল ইসলাম জিয়া । যুবলীগ নেতা জিয়াউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে গরু চুরি ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ ওঠায় গত ৮ নভেম্বর উপজেলার কামারদহ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম জিয়াকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কামারদহ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্বরত পদ পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের দক্ষিন মাস্তার বাসিদা বকুল ফকরিরে পুত্র সোহলে রানার গোয়াল ঘর হতে গভীর রাতে গরু চুররি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিয়াউল ইসলাম জিয়া সহ আরও ৩ জন কে আসামী করে, গোবন্দিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন সোহেল রানার পিতা বকুল ফকির । মামলা সূত্রে জানা যায় গত ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে রাত আনুমানকি ২টা ১৫ মিনিটে কে বা কাহারা তার গোয়াল ঘর হতে গরু চুরি করে পালিয়ে যায়। সোহলে রানা প্রতিদিনের নেয় ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন গোয়াল ঘরে দরজা খোলা এবং তার গরুটি ঘরে নেই।
পরে অনেক খোজাখুজির পর একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেকের বাড়ি হতে গরুটির সন্ধান মেলে। গরুর সন্ধান পাওয়ার পর সোহলে রানা প্রতিবেশি কয়েক জনকে সাথে নিয়ে আব্দুল খালেকের বাড়ী ঘেরাও করে এবং থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ গরুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ঘটনার স্থান ত্যাগ করার পর অভিযুক্ত আসামীরা লাঠি ও লোহার রড দ্বারা সোহেল রানার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। কিন্তু মামলা হওয়ার ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এই মামলায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি গোবন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। গোবিন্দগঞ্জে এ ঘটনায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার পরেও কোন সুরহা হয়নি এ ঘটনার। আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে কর্তব্যরত সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি নানা তাল-বাহানা করে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামারদহ ইউপি’র মাস্তা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, দেশে আইন বলতে নাকি জানেন টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার ক্ষমতা ।
যার ম্যানেজ করার কৌশল জানা আছে যার পকেটে টাকা আছে তার কাছে আইন পকেটে এমন টাই অভিযোগ করে বলছিলেন তিনি। সচেতন মহলের ধারনা আসামী জিয়াউল ইসলাম জিয়া টাকা-পয়সা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী বকুল ফকরিরে সাথে কথা হলে তিনি জানান, জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। জিয়াউল ইসলামের হুমকির কারনে বকুল ফকির ভীত সন্ত্রস্ত।
বকুল ফকির আরও বলেন জিয়াউল ইসলাম জিয়া তাকে চৌদ্দ হাত মাটির নিচে পুতে দেয়ার মত হুমকিও দিয়েছেন। মামলা সূত্রে আরো জানা যায় যুবলীগ নেতা জিয়াউল ইসলাম জিয়া গরু চোরা কারবারির সাথে জড়িত। এছাড়াও এলাকায় দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তাই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দ্বায়ে যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে জিয়াউল ইসলাম জিয়াকে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নির্দেশে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সে দক্ষিন মাস্তার বাসিন্দা আব্দুল খালেক ফকিরের পুত্র।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন