গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান। সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুনর রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই তালিকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারী শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, বিদ্যালয়, ব্যক্তি, কমিটি, প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে গোবিন্দগেঞ্জ উপজেলার কুঠিবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. ওমর ফারুকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোছা. শিরিন আখতারকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকা, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. আখতারুজ্জামানকে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক, গাইবান্ধা সদর ঝিনাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোবাশ্বেরা বেগমকে সহকারি শিক্ষকা, গাইবান্ধা সদর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোছা. নতুন বেগমকে শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক, সাঘাটা জুমার বাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর ব্রীজরোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রেষ্ঠ এসএমসি, ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. নুরে আলম সিদ্দিকে শ্রেষ্ঠ কর্মচারি, পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মণ্ডলকে শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, গাইবান্ধা পিটিআইয়ের ইন্সট্রাকর মো. সামিউল হাসানকে শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাকর, পলাশবাড়ী ইউআরসি অফিসের রবিউল ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাকর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসানকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমানকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘোষণা করা হয়।
শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কাজ করতে আমি বিশ্বাসী নই। প্রত্যেকেই যে যার দায়িত্ব ও সততা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করলে আমাদের দেশটা আরও এগিয়ে যাবে। দেশের সমৃদ্ধি তরান্বিত হবে। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমি সব সময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। তারপরও যাছাই-বাছাই কমিটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার চেষ্টাকে মূল্যায়ন করে আমাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসীর ভালোবাসা আর সহযোগিতার ফল আমার এই অর্জন। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সরবরাহ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন কাজ করে চলেছেন আব্দুল লতিফ প্রধান। ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে আসার পাশাপাশি শিক্ষাথীরা বিদ্যালয়মুখি হয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।