গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রতনা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বার্নাচন্দ্র শেখর (বকশীচর) গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে রতনা খাতুন ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং স্বামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আলামীন ইসলামের সাথে ২০১৯ সালের ২৩ মে আমার বিয়ে হয়। বর্তমানে আমি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আলামীন যৌতুকের জন্য প্রায়ই আমাকে নির্যাতন ও মারধর করতেন। পেটের অনাগত সস্তানের কথা চিন্তা করে এসব নির্যাতন সহ্য করে আমি তার সাথে ঘর-সংসার করতে থাকি।
এরই একপর্যায়ে যৌতুক লোভী আলামীন গত ১৪ সেপ্টেম্বর যৌতুক হিসেবে আমার বাবার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আনতে বলেন। আমার বাবা একজন গরীব কৃষক। তার কাছ থেকে যৌতুকের এই টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে আলামীন আমাকে মারধরসহ সিগারেটের আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেন।
এ ছাড়াও তিনি আমার অগোচরে আমার কিছু আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে সেসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এরকম ছবি আরো ছড়িয়ে দিবেন বলে আমাকে হুমকী দেন। এ ঘটনায় আমার বাবা গোবিন্দগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আলামীনের ভগ্নিপতি অন্য থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার কারণে আলামিনকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
মামলা দায়েরের পর থেকে আলামীন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজন আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকী প্রদান করছেন। এ অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই নির্যাতনকারী আলামীনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আমার মান-সম্মান ও জীবন রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে রতনার বাবা রেজাউল করিম, মা নার্গিস বেগম, ফুফা রফিকুল ইসলাম ও রমজান আলী, ফুফু মইরন বেগম, চাচা আব্দুল জলিল, আইনুল হক ও শাহিনুর উপস্থিত ছিলেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন