গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূন্য আসনের দ্বিতীয় দফার উপনির্বাচন কাল বুধবার। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এবার সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে কেন্দ্রে।
রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, এবারও কেন্দ্রগুলোতে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা থাকবে। যা ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ২১ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যাবের আটটি টিম, পাঁচ প্লাটুন বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বিভাগের বিভিন্ন ইউনিট মোতায়েন থাকবে।
জানা যায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আগের বারের পোলিং এজেন্টদের পরিবর্তন করা হয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নতুন করে সাজানো হয়েছে। ইভিএম এর ব্যাপারে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে কারিগরি টিমের সদস্য কেন্দ্রে থাকবেন। বিশেষ করে চরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে।
পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পূর্ণ পেশাদারিত্ব নিয়ে দায়িত্বের শতভাগ কাজ করতে হবে। গায়ে পড়ে কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো যাবে না। কেউ কোনভাবেই ভোটকেন্দ্রের বাইরে যাবেন না। মানুষ যাতে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুর পর আসনটি নির্বাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন চলাকালে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এতে ভোট বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে তদন্ত করেও অনিয়মের সত্যতা পায় নির্বাচন কমিশন।
পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন চার জানুয়ারী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। এ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। এদের মধ্যে বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোটযুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নাহিদুজ্জামান।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।