কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঘন ঘন লোড শেডিং শুরু হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া টানা কয়েক দিন ধরে চলমান দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষজন। ফলে উলিপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চার্জার, সোলার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের লাইট বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
দক্ষিণ সাদুল্যার আফরোজা বেগম জানান, এক ঘণ্টা করে লোড শেডিং থাকার কথা। কিন্তু দিন-রাত মিলে ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে, বৃষ্টি না হওয়ায় অসহনীয় গরমে বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারে না। তাই চার্জার লাইট ও ফ্যান কিনতে এসেছি।
গুনাইগাছ মহিদেব এলাকার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফায়েত হোসেন রাফি বলেন, বাড়িতে সোলার থাকলেও গরমে পড়াশোনা করতে কষ্ট হয়। ৫০ টাকা দিয়ে ছোট একটা মোটর ও ১৫ টাকা দিয়ে একটি ছোট পাখা দিয়ে সোলার ব্যাটারির সাহায্যে নিজে ফ্যান তৈরি করেছি।
পৌর শহরের আজাদ ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী লাবু মিয়া বলেন, আগে চার্জার ফ্যানের তেমন চাহিদা ছিল না। এখন একটু বেড়ে গেছে।
চৌমুহনী বাজারের মাফিদ মিডিয়া সেন্টারের স্বত্বাধিকারী বাইজীদ ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে চার্জার ও সোলার ফ্যানের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কম্পানির সেলসম্যানদের (এসআর) বারবার বলেও তারা মাল দিচ্ছে না। ফ্যানের সংকট রয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বনামধন্য একটি কম্পানির বিক্রয়কর্মী বলেন, হঠাৎ করে কুড়িগ্রামে চার্জার ফ্যানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সুযোগে অনেক অসাদু ব্যবসায়ী কম্পানির নির্ধারিত দামের ওপর লেভেল বসিয়ে ২৪৫০ থেকে ২৭৯৫ টাকা মূল্যের ফ্যান ৩৬০০ থেকে ৩৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী ফ্যান সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী দুই মাস পর্যন্ত এ সংকট থাকবে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর মিয়া বলেন, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দাবদাহ অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।