কুড়িগ্রামে আবারও জেলার ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ও দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি অনেক বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর পানির বাড়ার ফলে নদ-নদী অববাহিকার ও চরাঞ্চলের মানুষজনের বন্যা আতঙ্ক বেড়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদ-নদীর পানি গতকাল সোমবার রাত থেকে নতুন করে আবারও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তিনটি পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসমুহে পানি উঠেছে। নদীর চর ও দ্বীপচরগুলোতে কৃষি ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। নদীতে বিভিন্ন জেগে ওঠা চর ও দ্বীপচরে ডুবে গিয়ে বাদাম ও ভুট্টা খেতসহ অন্যান্য ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছে নদী পাড়ের কৃষকরা।
এদিকে, ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় জেলার দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসব এলাকায় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।