কুড়িগ্রামে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সেইসাথে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে লকডাউন চলাকালীন কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। জেলা শহরের হাটবাজার,বিভিন্ন দোকানপাট ও অলিগলিতে অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। এমনকি এখন অনেক সরকারি-বেসরকারি অফিসেও হাত ধোয়ার যে ব্যবস্থা ছিল তা আর চোখে পড়ছেনা। জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও জনসাধারণ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব।
প্রতিদিন জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা পজিটিভ রোগী। হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছে বেশ কিছু রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৯ জন। এ অবস্থায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সোমবার বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সভায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার আলোচনা করেন। এতে কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব জিয়াউল হাসান যুক্ত হন।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মো. জিয়াউল হাসানের সাথে সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর পৌরসভা এলাকার ২, ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডকে করোনার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় এই তিনটি ওয়ার্ডসহ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এলাকা, পৌরবাজার ও জিয়াবাজারে চলাচলে বিশেষ বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় এসব এলাকার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরো জানান, কোভিড-১৯ টেস্টের পর এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৩৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন। এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬০১ জনের। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রোগীদের অধিকাংশই পৌরসভা এলাকার। সোমবার ২৯ জনের করোনা টেস্টে ১৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ১৩ জনই পৌরসভা এলাকার বলে তিনি জানান। সংক্রমন ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য ৩টি ওয়ার্ডসহ হাসপাতাল চত্বর এলাকা, পৌরবাজার ও জিয়া বাজার এলাকায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সকল ধরণের যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সকল এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের বিশেষ টিমসহ মোবাইল টিম সহযোগিতা করবে। যা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।