ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকার আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তূপ দিনরাত খুঁড়ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। কিন্তু কেন এই মাটি খননের প্রতিযোগিতা? ইটভাটার মাটির স্তূপে স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে, এমন খবরে মাটি খনন করছেন এসব মানুষ।
স্বর্ণের খোঁজে মাস খানেক ধরে চলছে মাটি খনন। সকাল ধেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের সহস্রাধিক মানুষ কেউ কোদাল, কেউ বাসিলা, কেউ খুন্তি নিয়ে মাটি খনন করছেন। মাটি খুঁড়ে স্বর্ণ পেলে ভাগ্য বদলাবে, এমন বিশ্বাসে আশেপাশের জেলা-উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ আরবিবি ইটভাটায় জড়ো হয়েছেন। মাটি খুঁড়ে শতশত মানুষ স্বর্ণ পেয়েছেন বলে খবর ছড়ালেও কেউ স্বর্ণ পাওয়ার কথা স্বীকার করছে না।
মধ্যবয়স্ক জোতিন্দ্র রায় বলেন, ঠাকুরগাঁও নয়, দিনাজপুর রংপুরসহ নানা জায়গা থেকে আসছেন মানুষ। কেউ কেউ স্বর্ণ পাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেউ কাউকে দেখাচ্ছে না। আবার নিরাশ হয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের সদস্য উমের আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত স্বর্ণ কেউ পেয়েছে এ রকম আমি দেখিনি। তবে শুনেছি মানুষ নাকি স্বর্ণ পেয়েছে। এজন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। প্রশাসন এসেছিল কিন্তু হাজার হাজার মানুষ জায়গাটা ঘিরে রাখায় তারা কিছুই চেক করতে পারেনি।’
ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার সামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন-রাত ওই মাটির স্তূপ খনন করছে।
রানীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি এর আগেও জেনেছি।বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে লোকজন আবার একই কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’